জাতীয়

শুধু বিদেশে নয়, পণ্য দেশের বাজারেও বাজারজাত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রপ্তানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেও বাজারজাত করতে হবে ব্যবসায়ীদের। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রপ্তানি পণ্য বহুমুখি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনকার কূটনীতি হবে বাণিজ্যিক। অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন দেশে কোন পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেগুলোর বাজার খুঁজে বের করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই। বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রফতানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেরও বাজারজাত করতে হবে।

দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মাত্র ১৫ বছরে আমরা এই যে উন্নতি করতে পারলাম, পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

নতুন নতুন পণ্য ও বাজার খুঁজতে হবে জানিয়ে ব্যবসায়ীদের সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কেন গার্মেন্ট সেক্টরের ওপর নির্ভর থাকব? আমরা পণ্য যখন উৎপাদন করব যখন ডিজাইন, রং এবং এক একটা সময় এক একটা জিনিসের চল আসে, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের ফ্যাশন ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। আমরা কোন দেশের কোন বাজারে ঢুকতে পারব, সেটা সরকার থেকে করে দেব। তবে ব্যবসায়ীদেরও নিজেদের পার্টনার নিজেদের খুঁজে নিতে হবে। সেদিকে আপনাদের নিজেদের দৃষ্টি দিতে হবে। নিজেদের উৎপাদক যেমন বাড়াবো, রপ্তানি বাড়াবো। আবার নিজের দেশের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান আমরা রেখে যাব। শুধু সীমিত কয়েকটা পণ্যের ওপর আমরা আর নির্ভরশীল থাকতে চাই না।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যখন আসবে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জনশক্তি তৈরি করতে হবে। উপযুক্ত জনশক্তি যাতে তৈরি হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। যাতে আমাদের যুব সমাজ এগিয়ে আসে। বাংলাদেশকে এই যুবসমাজ এগিয়ে নিতে পারবে।

২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশে লুটপাট জুলুম হামলা মামলা চলেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। সরকারের প্রচেষ্টায় এরইমধ্যে ৫৮ জেলা ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৩তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্যই শক্তিশালী অর্থনীতি গড়া সম্ভব হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য রফতানি বাড়ানোর কথা জানিয়ে-তিনি বলেন, চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের মাটি, সোনার মাটি। এ মাটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য উৎপাদন করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্য পণ্য, গার্মেন্ট, ডিজিটাল ডিভাইসের মতো নতুন নতুন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন