কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার ইচ্ছা সরকারের নেই : কাদের
কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উস্কানি দিচ্ছেন। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত সব পক্ষের বক্তব্য এবং যুক্তি-তর্ক আমলে নিয়ে চূড়ান্ত রায় প্রদান করবেন। আমরা আশা করি, অচিরেই এই বিষয়টির সমাধান হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনও যৌক্তিক দাবিই কখনোই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাবো, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনও ইচ্ছা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জেএইচ