‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই’, গুলিতে আহত অন্য ট্রাম্পকে দেখলো বিশ্ব
অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার পেনসেলভেনিয়ায় বুটলার এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় তাকে লক্ষ্য করেই জনসভার পাশেই একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে এক বন্দুকধারী গুলি চালায়। প্রাণঘাতী হামলায় আক্রান্ত হওয়ার পরও ট্রাম্পের অনমনীয় মনোভাবের সাক্ষী থাকল বিশ্ব।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। সেই সময়ই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প বলে চলেছেন, ‘ফাইট ফাইট।’ যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান এই নেতা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, লড়াই ছাড়তে নারাজ তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প । তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ী। গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় বর্ষীয়ান নেতার। বিপদ বুঝে তিনি নিচু হয়ে যান। শোনা যায় গুলির শব্দ। দেখা যায় ট্রাম্পের কান দিয়ে রক্ত ঝরছে।
সভাস্থলে ছড়িয়ে যায় আতঙ্ক। এসময় তাঁকে ঘিরে ধরেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা বেষ্টন করে রাখেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সেই বেষ্টনীর ভিতর থেকেই মঞ্চ থেকে নামার সময় নাছোড় মনোভাব দেখান ট্রাম্প। কানে জমাট বেঁধে ছিল রক্ত। রক্তের দাগ লেগে মুখেও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রিপাবলিকান নেতার শরীরী ভাষায় ছিল আগুনে মেজাজ। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত শূন্যে ছুড়ে দিচ্ছিলেন তিনি।
পরে ট্রাম্প নিজে এদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, ‘বুলেট আমার ডান কানের উপরের অংশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।’ সেই সঙ্গেই সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প জানাচ্ছেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা হয়েছে। আমি একটা শব্দও পেয়েছিলাম। বুলেট আমার ত্বক ছুঁয়ে যেতেই বসে পড়ি। খুব রক্ত পড়ছিল। বুঝতে পারছিলাম ঠিক কী ঘটে গিয়েছে।’
হামলার পরে বিমানে নিউ জার্সি ফিরে বিমান থেকে নেমে আসার সময় তাঁর শরীরী ভাষা মুগ্ধ করেছে রিপাবলিকান নেতাদের। একজন লিখেছেন, ‘শক্তিশালী ও অনমনীয়। উনি কখনও আমেরিকার হয়ে লড়াই করা ছাড়বেন না।’
এমআর//