রায়ের আগে কোটা নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই : প্রধানমন্ত্রী
আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা খোলা, আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে আমার কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত, কোটা আন্দোলনকারীদের দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার তারা (শিক্ষার্থীরা) এ ধরনের আন্দোলন করছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন এতে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন সব কোটা বাদ দেয়া হল। তখনই তিনি বলেছিলেন যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো সরকার দিতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজ গলাবাজি করা যাচ্ছে৷ নয়তো পাকিস্তানিদের বুটের মার খেতে হতো ।
শেখ হাসিনা বলেন, ফরেন ক্যাডারে নারী মাত্র দুই জন, আর পুলিশে নারী গেছে মাত্র ৪ জন। দেশের নারীরা কোনোদিন ডিসি-এসপি হবে-এটা তো তারা ভাবতেই পারতো না। প্রশাসনেও প্রথম সচিব বানিয়েছেন তিনি।
যিনি বলেছিলেন, নারী কোটা চাই না। তারা কী চাকরি পেয়েছেন? সব এলাকা বা জেলা তো একই রকম হয় না। ২৩ জেলায় পুলিশে কেউ জয়েন করেনি।
আই/এ