আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ চলছেই, নিহত বেড়ে ৫০

ইরানে হিজাব ‘ঠিকমতো’ না পরায় আটক নারীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ টানা অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এই আটদিনে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। যা সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ১৭ জনের তিনগুণেরও বেশি। এরমধ্যে পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। অসলো-ভিত্তিক সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আইএইচআর বলছে, পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুতে শুরু হওয়া এই সহিংসতা ইতোমধ্যে ৮০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানের নীতি পুলিশ হাতে আটক হওয়ার পর ২২ বছর বয়সী ওই কুর্দি তরুণী তিনদিন কোমায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যাচাইকৃত ফুটেজে দেখা গেছে, সরকার-সমর্থিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। কেউ কেউ সশস্ত্র দাঙ্গা পুলিশের মুখোমুখি হয়েছে।

নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমিনীকে। তিনদিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, পুলিশি হেফাজতে আমিনী মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কিছু নারী বিক্ষোভকারী হিজাব খুলে ফেলেছে এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া প্রতীকীভাবে তাদের চুল কেটে ফেলেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই বিক্ষোভকারী ও নাশকতাকারীদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।

উম্মে রুম্মান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন