এবার ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হলেন মাইকেল চাকমা
গুমের পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কথিত আয়নাঘর থেকে মুক্ত করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(৭ আগস্ট) মাইকেল চাকমার মুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বিবৃতিতে বলা হয়,রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস পর অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল মাইকেল চাকমা নিখোঁজ হন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সব জাতিসত্তার জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন।
ওইসময় ইউপিডিএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এর পর থেকে তাঁর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
মাইকেল চাকমার মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তার মুক্তির ব্যাপারে সোচ্চার হন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিএইচটি কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও।
মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সরকারের পতনের পর মােইকেল চাকমাকে মুক্তি দেওয়া হলো।
এরে আগে, দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার ভোরে নিজ নিজ বাসায় ফেরেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান) মিরপুর ডিওএইচএস থেকে এবং এর কয়েক দিন পর ২৩ আগস্ট আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয়েছিল।
এমআর//