বিনোদন

সৃষ্টির স্বাধীনতা চাইলেন শিল্পীরা

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলে এরই মধ্যে বিদায় হয়েছে হাসিনা সরকার। নতুন সরকার দায়িত্বও গ্রহণ করেছে। তবে এই আন্দোলনে ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেমন অংশ নিয়েছিল, তেমনই ছিল তারকাদের অংশগ্রহণ। দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীর ব্যানারে এর আগেও রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন শিল্পীরা। শনিবারও (১০ আগস্ট) দাঁড়ালেন।

বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক নতুন এক  দেশের আহ্বানে  শনিবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশের ডাক দেয়  দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ,আলোকিচিত্রী সমাজ, বিক্ষুব্ধ থিয়েটারকর্মীরা, বাংলাদেশ সংগীতশিল্পী সমাজ (গেটআপ স্ট্যান্ডআপ) সংগঠনগুলো। 

পূর্বঘোষণা মোতাবেক দুপুর ২টা থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন কর্মীরা।

ঠিক বিকেল ৩টা বাজতেই ব্যানার হাতে সংস্কৃতিজগতের কর্মীরা দাঁড়িয়ে যান বাংলাদেশের সংগ্রামের প্রতীক শহীদ মিনারের সামনে। শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানান, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে সবাইকে বিপ্লবী অভিনন্দন। এরপরই বক্তরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘সময়টা শুধু উদযাপনের নয়, উল্লাসের নয়; সময়টা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের।

আন্দোলনে আমরা ছাত্রদের ওপর যেমন ভরসা রেখেছি, ঠিক তেমনি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তাদের পাশে থেকে সর্বজনের প্রতিনিধিত্বমূলক বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশের অভ্যন্তরে চলমান সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ আমরা সর্বস্তরের শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী গভীরভাবে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের এই ক্রান্তিকালে সর্বস্তরের শিল্পীদের এক করেই এই সমাবেশ।’

সমাবেশে আগত প্রতিটি সদস্যই দাবি তোলেন অহিংস এক বাংলাদেশের। যেখানে নিশ্চিত হবে সহাবস্থান।

নতুন এই বাংলাদেশ সবার। শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন করে নতুন দিনের স্বপ্নে বিভোর সবাই। যে স্বপ্নে জন্ম নতুন বাংলাদেশের , সে স্বপ্প পূরণের নতুন ভোর দেখতে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে হবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের, এমনটাই মনে করছে শিল্পীসমাজ।

এ সময় আলোকচিত্রী  শহিদুল আলম বলেন, ‘এই সময়টায় অনেক কিছু হচ্ছে,হবে। অনেক কিছুর করার চেষ্টা করা হবে। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সেটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করব। যে স্বাধীনতা আমরা আজ পেয়েছি এটা যেমন বিশাল একটা ঘটনা, এটাকে হারিয়ে ফেলাও বিশাল একটা ঘটনা হবে। আমাদের দেশে আর কোনো দিন যেন স্বৈরাচারতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র আর যেন আমাদের ঘ্রাস না করে।’

বক্তব্যে নির্মাতা অমিতাভ রেজা দেশের প্রতিটি মানুষকে সম্মিলিতভাবে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য আহ্বান করেন। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন জানান, ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় আজ অর্জিত হয়েছে সে বিজয়কে কোনোভাবেই কলুষিত করা যাবে না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন