পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিলো যুক্তরাজ্য
গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বুধবার (১৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তবর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের একথা বলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘ বাংলাদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য।
এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় দিল্লি। দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও স্বার্থকে সব সময় গুরুত্ব দেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার।’
এসময় শেখ হাসিনা ইস্যুতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সেটি এড়িয়ে গিয়ে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, আজকে(বুধবার) শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না।’ ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোনো আলাপ হয়নি বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন পেশাদার কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিক এম তৌহিদ হোসেন। অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য ও ভারতের হাইকমিশনার এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আসেন এবং সবাই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এমআর//