স্তন্যপান করানোর সময়ে যে খাবার মায়েদের না খাওয়াই উচিত
এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আবার এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শিশুদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েদের না পরিহার করা উচিত।
সদ্য মা হয়ে থাকলে নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য কেবল মাতৃদুধ খাওয়াতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। তবে বিভিন্ন কারণে শিশুর জন্য পর্যাপ্ত দুধের জোগান দিতে পারেন না অনেক জননী। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে এবং এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আবার এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শিশুদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েদের পরিহার করা উচিত। জেনে নিন, স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েরা কোন খাবার পরিহার করবেন ।
১.প্রক্রিয়াজাত খাবার: স্তন্যপানের সময় মায়েদের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। এই সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সসেজ, নাগেট্স, সালামি না পরিহার করা উত্তম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মায়ের খাদ্যাভ্যাস পরবর্তীকালে শিশুর খাদ্যাভ্যাসেও প্রভাব ফেলে। প্রক্রিয়াজাত খাবার চিনি, নুন ও রাসায়নিক যৌগ মেশানো থাকে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়।
২. কফি: মায়েদের যদি কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার প্রভাব কিন্তু পড়বে শিশুর ঘুমের উপর। চিকিৎসকদের মতে কফিতে থাকা ক্যাফিন মায়ের দুধের মাধ্যমে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে শিশুর ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুর জন্মের পর কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৩.ফুলকপি ও বাঁধাকপি: যে সব খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় এড়িয়ে চলুন। এতে কেবল আপনার গ্যাসের সমস্যা বাড়বে না, বাচ্চারও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাবে। তাই খাদ্যতালিকায় মুলো, ফুলকপি, বাঁধাকপি না রাখাই ভাল।
৪. পুদিনা: এমন কিছু ভেষজ আছে যার প্রভাবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এই ধরনের ভেষজকে বলা হয় ‘অ্যান্টি-গ্যালাক্টোগ্স’। পুদিনা সেই গোত্রের একটি ভেষজ। নব্য মায়েদের জন্য পুদিনা পাতা আছে এমন কোন খাবার বা লজেন্স না খাওয়াই উত্তম।
৫.মদ্যপান ও ধূমপান: এই সময়ে মদ্যপান কোন ভাবেই করা যাবে না। কারণ, মদ্যপান করলে মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ কমে যায়। সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী দুধ উৎপন্ন না হলে, কখনওই শিশু পেটপুরে দুখ খেতে পারবে না। এ ছাড়া, নিকোটিন আছে এমন কোনও জিনিস খাবেন না। প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে ধূমপানের প্রভাব পড়বে সন্তানের স্বাস্থ্যে।