বৃষ্টি থেমেছে নোয়াখালীতে, কমতে শুরু করেছে পানি
টানা ভারী বর্ষণের পর নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। মেঘনা নদী দিয়ে বন্যার পানি ভাটায় নেমে যেতে শুরু করেছে।। তবে এখনও পানিবন্দি আছেন প্রায় ২০ লাখেরও বেশী মানুষ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়।
সুবর্ণচরের বাসিন্দা মো. আবু সাইদ জানান, আলহামদুলিল্লাহ। সুবর্ণচরের আকাশে সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে এলাকাবাসীর আতঙ্ক দূর হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে ৮ উপজেলার মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০৫ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন তিনি। পানিবন্দি ও বানভাসি মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বৃষ্টিপাত, জোয়ার ও ফেনী থেকে আসা পানির চাপ সবকিছু মিলিয়ে কোম্পানীগঞ্জ মোটামুটি ভালো আছে। ভাটা শুরু হয়ে গেছে। সোনাগাজীর রেগুলেটর চালু হয়েছে, মুছাপুরের রেগুলেটর চালু হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক আছে। দাঁগনভুইয়া অংশে পানির প্রেসার কিছুটা বাড়লেও সিলোনিয়া নদী দিয়ে পানি নির্গমন প্রবাহ পর্যাপ্ত আছে। আপাতত কিছুটা আশঙ্কা কমেছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারতের পানির প্রেসারের ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী বন্যা পরিস্থিতি কি হতে পারে।
জানা গেছে, টানা ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেছে। পানিবন্দি প্রায় ২০ লাখেরও বেশী মানুষ। প্রায় ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি বন্যায় ভেসে গেছে ৮ উপজেলার কয়েক হাজার মাছের প্রজেক্ট, মুরগি খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজি খেত। ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে ভেঙে গেছে গাছা ও কাঁচা গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা।
জেডএস/