বন্ধ হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট
হ্রদে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছার কারণে খুলে দেয়া হয় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট। ভাটিতে অবস্থিত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা জলকপাট খুলে দেয়ায় বন্যার আতঙ্কে ছিলেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় ৬ ইঞ্চি করে তবে ছয় ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে জলকপাটগুলো পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এ টি এম আব্দুজ্জাহের জলকপাট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জলকপাট খোলা থাকা অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হয়েছে। ভাটিতে অবস্থিত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা জলকপাট খুলে দেয়ায় বন্যার আতঙ্কে ছিলেন। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব ভাটি অঞ্চলে পড়েনি বলে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা আলম গণমাধ্যমে বলেন, বাঁধের পানি ছেড়েছে, তা মনেই হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে পানি চলাচল করছে। বাঁধের পানি এভাবে অল্প অল্প করে ছাড়লে রাঙ্গুনিয়াসহ অন্যান্য নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন , কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেয়ার প্রভাব উপজেলায় নেই বললেই চলে। তবু ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের লোকজন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, বর্ষাকালে হ্রদে অতিরিক্ত পানি বাড়লে বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এএম/