দেশজুড়ে

অবনতির দিকে যাচ্ছে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে কুমিল্লা। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলাই বন্যার পানিতে ডুবেছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। বন্যা শুরুর পাঁচ দিন হতে চললেও ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

জানা যায়, ভয়াবহ এই বন্যায় জেলাজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে  ১০ জনের। এদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। বন্যার পানিতে তলিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় ১২ থেকে ১৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, গরুর খামার, পোল্ট্রি খামারসহ ঘরবাড়ি।

জানা যায়, গেলো রোববার এবং সোমবার নতুন করে বুড়িচং উপজেলা হয়ে  ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম এবং দেবিদ্বার উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী জানান, বন্যার্তদের জন্য জেলায় ১৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নগদ ৪৫ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।  সরকারি বরাদ্দ তারা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করছেন। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরের পানিও ঝুঁকির। বর্তমানে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘণ্টায় দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার পানি কমছে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন