লাইফস্টাইল

যে লক্ষণ দেখলে বুঝবেন, শরীর এবার বিরতি চাইছে

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান জীবনযাত্রার চাপ অনেক সময় আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাত পর্যন্ত কাজের চাপ সামলাতে সামলাতে অনেকেই অঙ্গীভূত হোন, তবে মাঝে মাঝে শরীর ও মস্তিষ্ক কিছু সঙ্কেত পাঠায় যে তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন। এই সঙ্কেতগুলো চিহ্নিত করা ও প্রতিকার নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. ঘন ঘন মাথা যন্ত্রণার সমস্যা
মাথা যন্ত্রণা সাধারণত কাজের চাপের কারণে হতে পারে, কিন্তু যদি এই সমস্যা ঘনঘন দেখা দেয়, তা হলে এটা মস্তিষ্কের বিশ্রামের সংকেত হতে পারে। খোলা হাওয়ায় হাঁটার পর যদি কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তাহলে এটি নির্দেশ করে যে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছে না।

২. অতিরিক্ত মেজাজ ও অধৈর্যতা
সামান্য কারণে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে ওঠা মানসিক চাপের ফল হতে পারে। এই ধরনের আচরণ যদি নিয়মিত হয়ে থাকে, তবে কিছু দিন ছুটির প্রয়োজন হতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে সপ্তাহে এক-দুটি দিন পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া উচিত, যা আপনার মেজাজ ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।

৩. ঘুমের অভাব
বিকেলের পর থেকে সন্ধ্যা বা রাতের বেলা ঘুম না আসা একটি সাধারণ সমস্যা। যদি নিয়মিত ঘুমের অভাব দেখা দেয়, তাহলে এটি মস্তিষ্কের বিশ্রামের সংকেত হতে পারে। দীর্ঘকালীন ঘুমের অভাব নানান স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, তাই এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

৪. স্মৃতিশক্তির হ্রাস
স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বয়সের কারণে হতে পারে, তবে কম বয়সে যদি এটি ঘটে, তা হলে এটি মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপের ইঙ্গিত হতে পারে। একসঙ্গে অনেক চাপ নিয়ে কাজ করার ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে, তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মনোযোগী থাকার চেষ্টা করুন।

৫. অতিরিক্ত ক্লান্তি
যদিও আপনার খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত, তবুও যদি নিয়মিত ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে এটা মস্তিষ্কের বিশ্রামের সংকেত হতে পারে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হলে যদি ভালো লাগে, তাহলে বুঝতে হবে যে মস্তিষ্ক বিরতি চাইছে।

প্রসঙ্গত, প্রতিদিনের চাপ ও পরিশ্রমের মধ্যে শরীর ও মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক কারণে, যেমন ঘুমের অভাব, মাথা যন্ত্রণা, স্মৃতিশক্তির হ্রাস, ও অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দিলে, আপনার নিজেকে বিশ্রামের সুযোগ দিন। সপ্তাহে কিছু দিন নিজেকে একান্ত সময় দিন, মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে দূরে গিয়ে খোলা হাওয়ায় সময় কাটান। এটি আপনার শরীর ও মনকে চাঙ্গা করবে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে এক পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন