যেভাবে মাইগ্রেনকে অনেকটা বশে রাখা যায়
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা যেন এক আতঙ্কের নাম। সাধারণ মাথাব্যথার তুলনায় এটি অনেক বেশি বেদনাদায়ক। পাশাপাশি বিভিন্ন উপসর্গ সঙ্গী হয়ে আসে যেমন- বমি, মাথা ঘোরা, চোখে ব্যথা, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা ভাব। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১০ কোটি মানুষ নিয়মিত মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। অথচ এই রোগের কোন নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিছু খাবার নিয়ম মেনে খেলে মাইগ্রেন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে কী কী খাবার খাবেন?
১. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ম্যাগনেসিয়াম কম খায় তাদের মাইগ্রেনের প্রবণতা বেশি। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে গাঢ় সবুজ শাক, অ্যাভোকাডো, কলা এবং টুনা মাছ রয়েছে। তবে ডার্ক চকলেটের মতো কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এটি মাইগ্রেন বাড়াতে পারে।
২. ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ইলিশ ও স্যালমন মাছ খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন বীজ ও ডালজাতীয় শস্য মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
৩. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফাইবার বেশি খেলে মাইগ্রেনের প্রবণতা কমতে পারে। রাগি, জোয়ার, বাজরা, গোটা ফল, শাকসবজি এবং আলুর মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য উপকারী।
মাইগ্রেনের রোগীদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। যেমন-
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- হটডগ, সসেজের মতো নাইট্রেটসমৃদ্ধ খাবার।
২. কৃত্রিম উপাদান জাতীয় খাবার- এমএসজি যুক্ত নুডলস, কৃত্রিম চিনি।
৩. দুগ্ধজাত খাবার ও আইসক্রিম।
৪. অ্যালকোহল, ওয়াইন ও বিয়ার।
৫. ক্যাফিনযুক্ত পানীয়, যেমন কফি।
৬. টমেটো, পেঁয়াজ, এবং গ্লুটেনযুক্ত খাবার।
৭. চকলেট, বাদাম, টকজাতীয় ফল ও ফিনিলেথিলামিন যুক্ত খাবার।
মাইগ্রেনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ না থাকলেও, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও কিছু নিয়ম মেনে চললে মাইগ্রেন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলোকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন এবং মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান।
জেডএস/