অর্থনীতি

নির্ধারিত দামে মিলছে না মুরগি-ডিম, বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে সবজিতে

ছবি: সংগৃহীত

একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এছাড়া বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ডিম। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। ডিম-মুরগি কোনটাই বিক্রি হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দামে। এদিকে এক কেজির ইলিশ কেজি প্রতি ১৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকছে ইলিশের স্বাদ।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ও এর আশপাশের বাজারে নিত্য পণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

এদিকে বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শিম ২৫০-৩০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সোলাইমান জানান, বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। তাছাড়া, পর্যাপ্ত পণ্যও আসতে পারেনি গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে। ফলে দাম কিছুটা বাড়তিই।

এছাড়া সোনালী মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা, আর সাদা ডিম ১৬০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাঁন মিয়া নামের এক বিক্রেতা জানান, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজি পাইকারি দামে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন। যার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ১৮০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্রয়লার পাইকারি বাজারে কিনতে হয়েছে ১৭৭ টাকা। অনেকে ১৮০ টাকা কেজিও কিনেছে। যার কারণে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৩০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকায়আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০০-১৬০০ টাকা ও ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, অনেকেই এখন ইলিশ মজুত করা শুরু করেছেন। সামনে দুর্গাপূজা, আর আগামী মাস থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ২২ দিনের জন্য। মাছটি মজুতের প্রবণতা শুরু হওয়ায় বাজারে কমছে এর সরবরাহ; ফলে দাম বাড়ছে।

এদিকে অন্যান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এছাড়া, চাষের পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০-২৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০-৬০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ টাকা, আইড় ৭৫০-৮০০ টাকা ও পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন