ক্যাম্পাস

ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতায় শাস্তি পেলেন ১২ শিক্ষক ও ২০ শিক্ষার্থী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে থাকাপাশাপাশি নানা অনিয়ম কঙ্কাল ব্যবসা, হোস্টেলের সিট দখল, র‌্যাগিং, চাঁদাবাজি, অস্ত্র বহন, মাদক সেবন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নির্যাতনের দায়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ২০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।  এছাড়াও এসব অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

রামেক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ২০ শিক্ষার্থী  প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।  তাদের মধ্যে এমবিবিএস ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব আকন্দকে তিরস্কার এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে তার মুচলেকা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।  বাকি ১৯ জনকে হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  এছাড়া তাদের ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এক বছরের জন্য শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- এমবিবিএস ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বখতিয়ার রহমান, আরাফাত জুলফিকার ডেভিড, নকিবুল ইসলাম শাকিল, ফারিয়া রেজোয়ানা নিধি, নাফিউ ইসলাম সেতু, ৬৩তম ব্যাচের শেখ সাকিব ও সোহম বিজয়।

৬ মাসের জন্য শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ৬১তম ব্যাচের রাশিদ মোবারক, ৬২তম ব্যাচের হাসিবুল হাসান শান্ত, আশিকুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, শোয়েব আকতার শোভন, জুহাইর আঞ্জুম অর্ণব, মাহফুজুর রহমান, ৬৩তম ব্যাচের কাজী হানিফ, পূর্ণেন্দু বিশ্বাস, ৩১তম বিডিএস ব্যাচের নূর এ জান্নাত কিন্তু এবং ৩৩তম বিডিএস ব্যাচের ফারদিন মুনতাসির।

রামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খন্দকার ফয়সল আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কলেজের ৩৪ শিক্ষক ও ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত কমিটি করে অভিযোগের তদন্ত করা হয়। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল। 

অধ্যাপক ডা. খন্দকার ফয়সল আলম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ার দায়ে ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  তাদের মধ্যে ৬ শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  অন্য ছয়জনকে বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন