আন্তর্জাতিক

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দুই বিজ্ঞানী

মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জফ্রি ই হিন্টন ছবি: ওয়েবসাইট থেকে

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জফ্রি ই হিন্টন। সুইডেনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) স্টকহোমের দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস তাদের নাম ঘোষণা করে।

কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বোলছে, তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

নোবেলজয়ী এই দুই বিজ্ঞানী পাচ্ছেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বা ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই অর্থ দুই নোবেলজয়ীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যাবে। 

২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রর পিয়ের আগোস্তিনি, ফেরেন্স ক্রাউজ ও ফ্রান্সের অ্যান লিয়ের।

তাদের সবারই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা। গবেষণার মাধ্যমে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন তারা। অতি অল্প সময়ের এই স্পন্দনের মাধ্যমে ইলেকট্রনের দ্রুত গতিবিধির ছবি তোলা সম্ভব।

এর আগে, সোমবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের প্রথম নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। তারা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন