ক্যাম্পাসে তরুণীকে ধর্ষণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সব স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক নারী শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর, বিচারের দাবিকে বিক্ষোভ শুরু হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এবং আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) পাঞ্জাবের অভ্যন্তরীণ বিভাগ সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডির পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ খালিদ মেহমুদ হামদানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে শুক্রবার জানান, বিক্ষোভের নামে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এসবের সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুঁজে বের বের করা হবে।
গত সপ্তাহে প্রদেশের রাজধানী লাহোরে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, পাঞ্জাব কলেজের বেজমেন্টে এক নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এরপর পুলিশ এক নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করে। যাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে কেউ তাদের কাছে আসেনি এবং তারা ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতাও নিশ্চিত করতে পারেনি।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ ভাইরাল হওয়ার পর লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ধর্ষণের অভিযোগটি লুকানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এখন পর্যন্ত বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পাঞ্জাবে বিক্ষোভ আয়োজন করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ হুমকি দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা ধর্ষণের পোস্ট ছড়িয়েছে তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
কেএস//