দেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের : রিজভী
দেশে যদি ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটে এর দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা রয়েছেন তাদের সবার থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন ও শহিদ নাফিসা হোসেন মারওয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই যে এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছেন আগে সেটিও সম্ভব ছিল না, কোথায় কথা বলতে গেলে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে আটক করে নিয়ে যেত। এই যে একটা মুক্তির সুবাতাসের মধ্যে সবাই রয়েছে। এর পিছনে যাদের অবদান রয়েছে, বিএনপি তাদের পাশে দাড়াচ্ছে। বৃহত্তম রাজনৈতিক দল যারা গত ১৬ বছর যাবত লড়াই করে চলেছে তারাই তো এই চূড়ান্ত আন্দোলনের পটভূমি রচনা করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসররা তাদের কালো টাকা ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। গতকাল তারাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে গোলাগুলি করেছে। এইযে জনঅরণ্যের মাঝে তারা লুকিয়ে রয়েছে এবং বের হয়ে দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এজন্য তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বারবার চাপ দিচ্ছেন, যে তাদের কোন ব্যর্থতার জন্য যদি দেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটে এর দায় তাদের সবার থাকবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কেন এখনো বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না? কেন আপনারা সেইসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দেশে শান্তি ও সুশৃংখলতা ফিরিয়ে আনতে পারছেন না? গণতন্ত্রকামী সকল দল তো আপনাদেরকে সমর্থন করেছে এবং বিএনপি প্রতি মুহূর্তে আন্দোলন করছে।
রিজভী আরো বলেন, গণতন্ত্র মানে মানুষ যেন শান্তি মতো বসবাস করতে পারে এবং গলা খুলে সমালোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে। দেশে আইনের শাসন থাকবে কে কোন দল করে এটা বড় কথা নয়, যেই অপরাধী পুলিশ তাকে ধরবে এবং বিচারের আওতায় আনবে এটাই তো ডেমোক্রেসি, ডেমোক্রেসি মানে তো শুধু নির্বাচন না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের একটা বড় উপাদান তবে সেখানেও বিএনপি একটু জটিলতা দেখছে। বিভিন্ন ধরনের আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আসার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু না আপনারা একটি অবাধ্য সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে আসুন যাতে করে জনগণ ১৫ বছর যাবত যারা ভোট দিতে পারেনি তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। আর এটাই হলো প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ এই পরিবেশ সৃষ্টি করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবু আশফাক, সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
আই/এ