নতুন সংস্কারের গীতিকারের প্রয়োজন নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৭ দফা রাষ্ট্র কর্মসূচি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন।পরেসকল দলের মতামতের ভিত্তিতে সেটাকে আরও পরিমার্জিত করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সেটা এই সরকার পতনের আগে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সুতরাং নতুন সংস্কারের গীতিকারের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতির বাইরে থেকে যে সংস্কার আসে সেটার বাস্তবতার সাথে অনেক অমিল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের সমাধান করতে হবে। যেহেতু সব দল একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে একমত হয়েছে। সবাই একটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। সুতরাং আপনারা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন (অন্তর্বর্তী সরকার), একসাথে বসেন... দেখেন কোন শব্দটা ভুল, কোনটা বানান ভুল। তারপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংস্কার কার্যক্রম মাসের পর মাস প্রয়োজন নেই।বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি দল একমত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটা সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তাদের তো কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছে, এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার কতটুকু যৌক্তিক?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি কমিটি করে যেখানে নারী নির্যাতন হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারী ও শিশুদের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্বৈরাচার পতন হয়েছে কিন্তু নারীরা এখনো মুক্ত হয়নি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ,নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।