বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হাসান (৪২) ও হারুন (৩০)।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালীর চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম।
ভুক্তভোগী ওই নারী (৩৮) জানান, তার স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে তিনি তার মেয়ে (১৭) ও এক দেবরসহ (২১) থাকেন। তাদের বাড়ির কাছাকাছি তেমন কারও বাড়িঘরও নেই। গত রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের বাড়িতে আসে।
তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে তার মেয়ে ও তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুর পাড়ে। আর অপর তিনজন তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পুকুর পাড়ে ও মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ওই নারী আরও জানান, ঘটনার পরদিন সকালে তিনি ও তার মেয়ে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান এবং তাদের কাছে এর বিচার চান । কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচারের নামে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী গতকাল বিকেলে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ফৌজুল আজিম জানান, নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
আই/এ