আপনার সন্তানের হাড় মজবুত রাখতে যে ৫ খাবার খাওয়াবেন
আপনি যদি শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি চান তবে অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। যে খাবারগুলো শুধু শিশুদের হাড়ই মজবুত করে না পেশির বিকাশেও সাহায্য করে। শৈশব থেকেই শিশুদের হাড়ের মজবুতির দিকে মনোযোগ দেয়া তাদের বড় হওয়ার পর হাড়ের ব্যথা এবং আঘাতের মতো সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। আজকাল তরুণরাও অস্টিওপোরোসিসের শিকার হচ্ছে। যার একটি কারণ সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব। তাই শিশুদের মজবুত হাড়ের দিকে মনোযোগ দিন এবং এই খাবারগুলিকে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডুমুর
বাচ্চাদের ভেজানো ডুমুর খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। এটি তাদের কেবল ফাইবার এবং প্রোটিনই সরবরাহ করবে না তবে এতে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হবে এবং হাড় মজবুত হবে। ডুমুরে উপস্থিত ফোলেট শিশুদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
বাদাম
বাচ্চাদের প্রতিদিন ৪-৫টি বাদাম ভিজিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। আপনি যদি শিশুদের সঠিক ও পরিপূর্ণ বৃদ্ধি পেতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভেজানো বাদাম রাখুন। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় বাদাম শিশুদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
পেস্তা
পেস্তায় প্রচুর পুষ্টি থাকে এবং এতে ভিটামিন বি৬, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন থাকে। এছাড়াও এ, ই এবং সি ভিটামিন রয়েছে। যা শিশুদের পেশী ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি মানসিক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
চিনাবাদাম
শিশুদের খাদ্যতালিকায় কিছু ভেজানো চিনাবাদাম যোগ করতে ভুলবেন না। এটি শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, তাদের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে এবং তাদের হজমশক্তিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। যার কারণে শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহজে শোষণ করে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে।
কিশমিশ
কিশমিশ শিশুর খাদ্য হিসেবেও বিবেচিত হয়। এছাড়াও আপনি ছয় মাসের বেশি বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়াতে পারেন। এটি কেবল দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে না তবে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করবে। এই পাঁচটি বাদাম ও শুকনো ফল প্রতিদিন ভিজিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে শুধু শিশুদের বৃদ্ধিই নয়, তাদের মনও তীক্ষ্ণ হয়।
জেএইচ