জিম্মি-বন্দি বিনিময়ে হামাসের শর্ত
গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হবে না। বুধবার (২০ নভেম্বর) হামাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান খলিল আল-হাইয়া জানান, ইসরাইলের আক্রমণ বন্ধ না হলে, নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজায় বন্দী ইসরাইলি ও বিদেশি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরাইলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি তারা মিশরের একটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে, যেখানে গাজায় একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও, গাজার জন্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা স্থগিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
হাইয়া জানিয়েছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অবস্থান আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, আলোচনার ব্যর্থতার জন্য হামাসই দায়ী।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এই যুদ্ধ শেষ হলে গাজার শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। তিনি দাবি করেছেন, ইসরাইল ইতিমধ্যেই হামাসের সামরিক শক্তি ধ্বংস করেছে এবং গাজা থেকে ১০১ জন জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কাতার ও মিশর উভয়েই মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কাতার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি দুই পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ না করে, তারা এই প্রচেষ্টা স্থগিত করতে বাধ্য হবে।
জেডএস/