জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব এসেছে। এতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে, নিজেদেরে একটি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় পাঁচটি স্তরে—ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন আর জেলা পরিষদ। তিনি মনে করেন, এই নির্বাচনগুলো আগে হয়ে গেলে সংস্কার ঝুলে যেতে পারে। এখন স্থানীয় সরকারগুলো আলাদা আলাদা আইনে পরিচালিত হয়। কোনো সমন্বিত কোনো ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো সব একই দিনে হওয়া উচিত এবং এ জন্য একটি সমন্বিত আইন হওয়া উচিত।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ধাপে ধাপে নয়, ব্যয় কমাতে একদিনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ করতে চায় কমিশন। কমিশন যে সংস্কার করতে চায়, তাতে নির্বাচনে ব্যয়ের সঙ্গে সময়ও কমে আসবে। অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল লাগবে।
তিনি বলেন, বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন যদি সংসদীয় পদ্ধতিতে করা হয়, তাতে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে এবং সময়ও কম লাগবে।
সভা শেষে সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আজকের মতবিনিময় সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে আছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সরাসরি ভোটে করা, শুধু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নয়, সব নির্বাচনই প্রত্যক্ষ ভোটে করা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করা, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা, নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার, হলফনামার তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের ব্যবস্থা করা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন কেউ নির্বাচিত না হন, সে ব্যবস্থা করা।
সংস্কার কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা পর্যালোচনা করছে। সবার মতামত নেওয়ার পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আই/এ