রিয়াদ সিজন ২০২৪
সৌদি আরবের কনসার্টে প্রথমবার জেমস, মাতলেন হাজারো বাংলাদেশি
এবার সৌদি আরবের রিয়াদ মাতালেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মাহফুজ আনাম জেমস। তবে শুধু জেমস নামেই বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি এখন। সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমবার দেশটিতে গাইতে যান নগর বাউলের এই পপ সুপারস্টার। ‘বাংলাদেশ কালচার শিরোনামের এক কনসার্টে শুক্রবার সন্ধ্যায় অংশ নেন তিনি। গেলো শুক্রবার রাতে তার গানের সুরের ঝঙ্কারে মাতাল হয়ে যান হাজারো বাংলাদেশি। অনুষ্ঠান স্থল যেনো পরিণত হয় এক টুকরো বালাদেশে।
"গ্লোবাল হারমনি" শ্লোগানে সৌদি আরব রিয়াদে আল সুয়াদী পার্কে পালিত হয়েছে রিয়াদ সিজন-২০২৪। বাংলাদেশ,ভারত, পাকিস্তান , ফিলিপাইন ,সুদানসহ বিশ্বের নয়টি দেশ তাদের নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরছেন এই সিজনে। জাতীয় পোষাক, খাবার এবং নাচ-গান খুব চমৎকারভাবে দর্শকদের সামনে ফুটিয়ে তুলছেন আর এই আনন্দ উপভোগ করতে উপছে পড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে সৌদি সরকারের নানা উদ্যোগের অন্যতম একটি হচ্ছে বাৎসরিক বিনোদন অনুষ্ঠান রিয়াদ সিজন। এদিন বাঙালি রকস্টার জেমসের গান শুনতে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্ক হয়ে উঠে কানায় কানায় পূর্ণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,এরআগে এতো প্রবাসী বাঙালিদের এমন মিলন মেলা সৌদির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি!
সৌদি আরবের প্রথমবার কোনো কনসার্টে অংশ নিয়ে জেমস নিজেও মুগ্ধ। মঞ্চে পারফর্মের পর তিনি মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। জানান,সৌদিতে আগামিতেও সুযোগ পেলে অবশ্যই ছুটে আসবেন!
জেমস বলেন, “সৌদি আরবে আমি প্রথম এসেছি। আমি আশা করি নাই যে এতো সুন্দর আয়োজন, এতো দর্শক এখানে আছে। রিয়াদে এসে আমি সত্যিই মুগ্ধ।”
তিনি বলেন, রেমিটেন্সযোদ্ধারা অনেক কষ্ট করেন। কর্মমুখর জীবনে তাদেরকে যে একটু সময়ের জন্য আনন্দিত করতে পারলাম, সেই সাথে সংগীতের মাধ্যমে তাদের সাথে যে মেলবন্ধন, তারা এনজয় করলো- আশা করি তারা দেশের জন্য সামনে আরো কাজ করবে ইনশাল্লাহ।
রিয়াদ সিজন -২০২৪ গ্লোবাল হারমনিতে বাংলাদেশ পর্বে ছিলো প্যারেড,নৃত্য, বাহারি খাবারের স্টল,বাংলাদেশি পোশাকের স্টল, গ্রামীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও কনসার্ট।
সৌদি আরবের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে এবারের পর্বে রিয়াদ সিজনে আরও ছিল নগর বাউল জেমস, হাবিব ওয়াহিদ, পরশি, মোহাম্মদ ইমরানসহ বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের সংগীত পরিবেশন।
রিয়াদের আল সুয়াদী পার্কে অনুষ্ঠিত রিয়াদ সিজনে প্রবেশ করতে কোন ধরনের প্রবেশ ফি প্রদান করতে হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র উইবুক অনলাইন প্লাটফর্মে আবেদন করেই নিশ্চিতে প্রবেশ করা গেছে। ২০ নভেম্বর শুরু হওয়া বাংলাদেশি পর্বের এই আয়োজন শেষ হয় শনিবার। প্রতিদিন বিকাল ৪ টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা ছিল পার্ক।
এমআর//