আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো সৌদি আরব

বাশার আল আসাদ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার দীর্ঘ সংঘাতময় ইতিহাসে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম- এইচটিএস এর আকস্মিক ও শক্তিশালী হামলার মুখে প্রথমে কৌশলগত হোমস ও পরে রাজধানী দামেস্কের পতন ঘটে। অবসান হয় আসাদ পরিবারের রাজত্ব। দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন দুই যুগের বেশি সময় ধরে স্বৈরাচারি কায়দায় দেশ চালানো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।  সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পতন হওয়ার পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিক বার্তা দেয় ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও মুখ খুলেছে সৌদি আরব। বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন দামেস্কোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রিয়াদ।

 রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার জনগণ সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। তাদের এমন দুঃসময়ে পাশে আছে সৌদি আরব।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে সৌদি তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। কোন ভাবেই যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় এ নিয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছে বাদশা সালমান প্রশাসন। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে দেশটির জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দামেস্ক দখলের পর রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন বন্ধু পুতিনের দেশ রাশিয়াতে। বাশারের পালানোর খবর পেয়ে হাজার হাজার সিরিয়ানকে দামেস্কে জড়ো হয়ে বিজয় উদযাপন করতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরের মধ্যে সম্প্রতি বাশার বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় এইচটিএস। অনেকটা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে বিদ্রোহীরা।  

২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে ইরাক, লিবিয়া, তিউনিশিয়া ও মিশরসহ বেশ কয়েকটি দেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়। এর জেরে ওই বছরের মার্চে আসাদ বিরোধী ব্যাপক গণবিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সিরিয়াতে অস্থিতিশীলতার শুরু। সেখানে যুক্ত হয় সশস্ত্র একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ওইসময় রাশিয়া আর ইরানের সহযোগিতায় সেসব বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন আসাদ। তবে এবা্র আর পারলেন না ক্ষমতা ধরে  রাখতে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন বাশার আল আসাদ।  

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন