তেলের বাজার সিন্ডিকেটের একজন দেশছেড়ে পালিয়েছেন : বাণিজ্য উপদেষ্টা
তেল বা চিনির বাজারে মুষ্টিমেয় কয়েকজন স্থানীয় আমদানিকারক রয়েছেন। এর মধ্যে একজন সর্ববৃহৎ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, যিনি বাজারের একটা বৃহৎ অংশ এবং আট-দশটা ব্যাংকও নিজে ম্যানেজ করতেন। এই যে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ফলে একটা সরবরাহ–ঘাটতি তৈরি হয়েছে, ওই তুলনায় কিন্তু আপনারা বাজারে রিঅ্যাকশন টের পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।সামনে আর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে কাজ চলছে। আগামী রমজানে খেজুর, ছোলা, তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থেকে নিম্নগামী থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৫ বছরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুকুর চুরির মধ্য দিয়ে বিপুল অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে। বাস্তবতা মেনে নিয়েই তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে এটা করা হয়েছে।
বিগত সরকারের সময়ে ‘সাগর চুরি’ করতে গিয়ে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এর হাত থেকে কিছুই বাদ রাখা হয়নি। প্রতিটি জায়গায় গুটিকয় মানুষের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি করা হয়েছিল। কৃষিতে গর্ব করার মতো আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের ফলে এখন কৃষি বা অন্যান্য খাতের তথ্যে অসামঞ্জস্যতার কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা হয়।
টিসিবির কার্ড দেয়ার বিষয়ে অনিয়ম হয়েছে উল্ল্যেখ করে তিনি আরও বলেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১ কোটি কার্ড দেয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এজন্য ৫৭ লাখ কার্ড বাতিল করা হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, কৃষিখাতে সংস্কার প্রয়োজন। শুধু ফলন নয়, এই খাতে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট যা যা প্রয়োজন সেসব করা হবে। এছাড়া আরও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলোর ওপর জোর দেওয়া দরকার।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সরকারের মতো ট্রান্সপারেন্ট সরকার আগে কখনও ছিল না। পূর্ববর্তী সরকার উন্নয়নের গল্প করতে গিয়ে বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে গেছে।
আই/এ