গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি জানান, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৪৩ কেন্দ্রে জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরিবর্তে আরেকজন ভোট দেয়ার অভিযোগে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যসব প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন বলে জানা গেছে।
আসনটিতে উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ ফুলছড়ি সাঘাটা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয় ইভিএমে। ১৪২ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা ছিলো। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তাছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। তবে এবার নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। তবে ইভিএম মেশিনে জটিলতার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুই দিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।