পাত্তা পেলো না ঢাকা, জয় দিয়ে রংপুরের শুরু
ব্যাটে বলে সমান পারফর্ম করে জয়ী হয়েছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ক্যাপিটালসকে মিরপুরের মাটিতে ৪০ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯১ রান তোলে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার খেলে ১৫১ রানে থামে ঢাকা।
বড় লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে উদ্ধোধনী জুটিতে ৬৫ রান তোলে ঢাকা ক্যাপিটালস। জাতীয় দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিমের ব্যাটিং ঢাকাকে আশা জুগিয়েছে ইনিংসের শুরু থেকেই। তবে ব্যক্তিগত ৩০ রানে তানজিদ ফিরতেই বাঁধে বিপত্তি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা।
লিটন দাসও বিদায় নিলেন ৩১ রানে। লিটন ও তানজিদ দুজনকেই ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদী। মাঝে হাবিবুর রহমানের সোহানের উইকেটও বগলদাবা করেছেন মেহেদী। ঢাকা এরপর আর মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। স্টিফেন এসকিনাজির ১৭ রান, থিসারা পেরেরার ১৭ রান কেবল কিছুটা ব্যবধান কমিয়েছে।
শেষদিকে মুকিদুল ইসলামের ব্যাটে আসে ১৮ টি রান। নাজমুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ১২ রান করে।
ঢাকার রানের চাকা ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ তে এসে থেমে যায়। কৃতিত্ব অবশ্যই রংপুরের বোলারদের। মেহেদীর ঝুলিতে মোট ৪ টি উইকেট ঢুকেছে। খুশদিল শাহ ২ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে রংপুর অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেনি। পরপর দুই ওভারে স্টিভেন টেইলর ও অ্যালেক্স হেলস বিদায় নিলে কিছুটা চাপেই পড়ে দলটি। টেইলর ৭ বলে ১৪ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন। অন্যদিকে হেলস আলাউদ্দিন বাবুর ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন।
দুই উইকেট পতনের পর সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদ মিলে জুটি গড়ে তোলেন। দুজনেই ৪০ এর ঘরে ফিরেছেন। দলীয় ১০৯ রানে ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফিরেছেন সাইফ। এর কিছুক্ষণ বাদে ইফতিখার আহমেদও ফিরেছেন ৩৮ বলে ৪৯ রান করে।
ততক্ষণে খুশদিল শাহ দলের হয়ে অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে গেছেন। অন্যদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান মারকুটে ব্যাট করতে থাকেন। সোহান ১১ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করেছেন। খুশদিল অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৪৬ রান করে।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলতে সক্ষম হয় রংপুর রাইডার্স।
ঢাকার পক্ষে বল হাতে আলাউদ্দিন বাবু একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন।
জেডএস/এম এইচ/