ইনকিলাব মঞ্চের মিছিলে বাধা, পাঁচ দফা দাবিতে আলটিমেটাম

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহতদের নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। তবে পুলিশ সদর দপ্তর পৌঁছানোর আগেই মিছিলটি আটকে দিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ।
এরপর দাবির একটি স্মারকলিপি পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। পাশাপাশি আগামীকাল, শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আলটিমেটাম বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপর সাড়ে তিনটায় ইনকিলাব মঞ্চের মিছিলটি শাহবাগ থানার সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে যেতেই আটকে দেয় পুলিশ।
এ সময় ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। এতে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়বে। এখানে যারা পুলিশ সদস্য আছেন সবাই ঢাকায় নতুন, জুলাইয়ে আমাদেরও ব্যাপক ভূমিকা ছিল। আপনাদের দাবিদাওয়া আমার কাছে দেন। আমি কালকে আইজিপির কাছে পৌঁছে দেব।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি পাঁচদফা দাবি তুলে ধরে জানান, তারা (পুলিশ) কথা দিয়েছেন আমাদের পাঁচ দফা আইজিপির কাছে পৌঁছে দেবেন। আমরা নিশ্চিত হতে চাই আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে আপডেট জানানো হবে। এমনটি না হলে কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বারান্দায় অবস্থান নেব।
ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবি:
১. জুলাই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত সব পুলিশকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২. জুলাই আন্দোলনে নিহত এবং আন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা প্রতিবেদন ও হয়রানিতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যারা পুলিশ বাহিনীতে আছে, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে হবে।
৪. জুলাই গণহত্যার দায়ে তিরস্কৃত ও বদলি হওয়া পুলিশদের তালিকা জনমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
৫. দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা বন্ধ করতে হবে।
এমএইচ//