মমতাকে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী
একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মমতা কুলকার্নিকে ঘিরে। মহাকুম্ভের প্রায় সূচনাতেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। কিন্নর আখড়ায় গিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ অর্জন করেন। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পদ থেকে বহিষ্কৃতও হন। এরমধ্যে এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন সাবেক এ অভিনেত্রী। তার দাবি, রাজনীতিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাবও পেয়েছিলেন এক সময়ে। এমনকি, একটা সময়ে রাজ্যসভার আসন পাওয়ারও লোভনীয় সুযোগ এসেছিল তার কাছে।
মমতার দাবি, একসময়ে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব তাকে রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও দেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে এসে এমনই দাবি জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
মমতা জানান, সেই সময়ে তিনি গোয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তখন তার সহকারী হঠাৎ এসে জানান, অবিলম্বে বিহারের একটি অনুষ্ঠানে যেতে হবে। বিশদ কিছু না জেনেই, সহকারীদের নিয়ে বিহারে যান মমতা কুলকার্নি। গিয়ে বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি বেশ গুরুতর।
সেখানেই আরও একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানান তিনি। বিহারে তখন তারা ঢুকে পড়েছেন। রাস্তার মাঝে অল্প সময়ের জন্য গাড়ি দাঁড় করাতে বলেছিলেন মমতা। কিন্তু রাজি হননি চালক। কারণ সেই এলাকা নাকি নকশাল অধ্যুষিত ছিল। হোটেলে পৌঁছেও দেখেছিলেন, সব কিছু কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা। ১০০ জন সশস্ত্র রক্ষী দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনওমতে বিহারের অনুষ্ঠান শেষ করেছিলেন মমতা। মনে মনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করছিলেন তিনি। প্রার্থনা করছিলেন, যেন দ্রুত এই এলাকা থেকে বেরোতে পারেন।
এই অনুষ্ঠান শেষ করে মুম্বাই শহরে ফেরার কয়েক দিন পরে লালুপ্রসাদ যাদবের থেকে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব এসেছিল। রাজ্যসভার একটি আসন মমতার জন্য রাখা হচ্ছে, এমনও বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে তার কোনও আগ্রহ নেই।
জেএইচ