অর্থনীতি

নাগালেই আছে সবজি, অস্বস্তি তেল ও মুরগির দামে

কিছুদিন ধরে বাজারে চলছে ভোজ্যতেলের ঘাটতি। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে মিলছে না খোলা তেলও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। তবে এখনও নাগালে সবজির দাম।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

মুলা ও শালগমের কেজি ১৫ থেকে ২০, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কিছুটা বেড়েছে বেগুন ও আলুর দর। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

অন্যদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল ও ছোলার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শবেবরাত উপলক্ষে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মাংসের দোকানে ক্রেতার ভিড় বেশি। অন্য সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। তবে চাহিদা বাড়ায় অধিকাংশ দোকানে এখন দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০০ টাকা। কিছু দোকানে একদাম আবার কোথাও ১০ থেকে ২০ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

ব্রয়লার মুরগির কেজি এক-দেড় মাস ধরেই ২০০ টাকার আশপাশে। গত সপ্তাহে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গতকাল ১০ টাকা বেড়েছে। ফলে ক্রেতাদের কেজিতে গুনতে হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। এ ছাড়া সোনালি জাতের মুরগির দরও গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

তেজকুনিপাড়ার মাংস বিক্রেতা রবিউল হাসান  জানান, শবেবরাত উপলক্ষে মানুষ বেশি পরিমাণে কিনছে। এ জন্য দর কিছুটা বেড়েছে। প্রায় একই কথা বলেন কারওয়ান বাজারের নূরজাহান চিকেন হাউসের বিক্রয়কর্মী ইয়াসিন আলীরওঅন্যদিনের তুলনায় গতকাল ক্রেতার চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।

এখনও সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের। মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিন তেলের দর বেড়ে গেছে। এতে অনেকেই দোকানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

কারওয়ান বাজারের আবদুর রব স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নাইম বলেন, পাঁচ কার্টন চাইলে কোম্পানি তেল দেয় দুই কার্টন। একদিনেই তা শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া সরকার খোলা সয়াবিনের দর নির্ধারণ করেছে ১৫৭ টাকা। কিন্তু ডিলারদের থেকে পাইকারিই কিনতে হয় ১৯০ টাকা দরে। এ জন্য তিনি এক সপ্তাহ ধরে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

তবে শবেবরাত উপলক্ষে ক্রেতার বেশ চাপ লক্ষ্য করা গেছে মুদি দোকানগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দোকানে বিক্রেতারা ছিলেন বেচাকেনায় ব্যস্ত। বেশির ভাগ ক্রেতাকে ছোলা, চিনি, তেল ও মসলা কিনতে দেখা গেছে।

পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি থাকলেও রসুনের বাজার চড়া। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দরের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে রসুন কেনা গেছে। একই সঙ্গে আদাও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন