ফের বিচ্ছেদ, তৃতীয় সংসারও টিকলো না হৃদয় খানের
আবারও আলোচনায় জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হৃদয় খান। বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে এবারও গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম হলেন এই শিল্পী।
দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বিয়ের কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন তৃতীয় স্ত্রী হুমায়রা নিজেই।
সূত্রের বরাতে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক আগেই হৃদয় খান ও হুমায়রার ডিভোর্স হয়েছে। হৃদয়ের ওপর নানা কারণে বিরক্ত হয়ে হুমায়রা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। হৃদয় ও তার পরিবার ডিভোর্সের বিষয়টি গোপন রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে হৃদয় খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ জন্য আপাতত এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে অন্য কোনো কথা থাকলে বলুন।
অন্যদিকে, হৃদয় খানের বাবা সংগীত পরিচালকৈ রিপন খানও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না আমি। হৃদয়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।
পেশাগত কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে মাঝে মধ্যেই আলোচনায় আসেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় এই শিল্পী। বিশেষ করে বারবার বিয়ে ও বিচ্ছেদের জন্য একাধিকার শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এবার শিরোনাম হলেন তৃতীয়বার বিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে।
হৃদয় খান ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০১০ সালের প্রথম দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন। ছয় মাসের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। এর কয়েক বছর পর নিজের থেকে বয়সে বড় জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করেন। সুজানাকে বিয়ে করার ঘটনা তখন বেশ হইচই ফেলে দিয়েছিল।
২০১৪ সালের ১ আগস্ট সুজানাকে বিয়ে করেন। হৃদয় খানের একটি গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন সুজানা। এরপর থেকেই সাত বছরের বড় সুজানাকে ভালো লেগে যায় হৃদয় খানের। সেই ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়।
তিন বছরের সাধনার পর হৃদয় খানের প্রেমের ডাকেসাড়া দেন সুজানা। অতঃপর বিয়ে। তবে এক বছরও টিকেনি তাদের সংসার জীবন। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ হয়।
সুজানার সঙ্গে বিচ্ছেদের বছর দুই পরেই ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কিন্তু সেই বিয়েও টিকে উঠল না।
এমআর//