দেশজুড়ে

বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বাস ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর হোসেনকে ৭ দিন ও রাজিব হোসেনকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে আলমগীর এবং পরে তার ভাই রাজিবকে আশুলিয়া থানার ধানসোনা এলাকার পশ্চিম পলাশবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আজ দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাস ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর ও শহিদুল ওরফে মুহিত। তারা মাদকাসক্ত। তাদের দুজনের পরিকল্পনায় এই ডাকাতি সংঘটিত হয়। আলমগীর ডাকাতি করে নেত্রকোনায় পালিয়েছিল। ডাকাতির কিছু মামলামাল তার আপন ভাই রাজিবের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বড় লাউতারা গ্রামে।

পুলিশ সুপার জানান, এর আগে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকায় লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিতকে (২৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ডে মুহিত  বাস ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আলমগীরের কথা জানায়। তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনা থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান,  আলমগীরের ভাই রাজীবের কাছ থেকে থেকে গ্রেপ্তারের সময় লুট করা ১০টি মোবাইল সেট, নারী বাসযাত্রীদের পাঁচ জোড়া চুড়ি, তিনটি ব্যাগ, তিনটি এনআইডি কার্ড, একটি এটিএম কার্ড, বাসযাত্রীদের টিকেট, ব্যবহৃত দুইটি ছুড়ি উদ্ধার করা হয়।

এক নারী যাত্রী ডাকাতির সময় অপর নারী যাত্রীকে ধর্ষণ হতে দেখেছেনবলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছি। আমরা বাসযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাদীও ধর্ষণের কোনো অভিযোগ করেননি। সবাই শ্লীলতাহানির কথাই বলেছেন এবং খুব বাজেভাবে নারীযাত্রীদের শরীরে স্পর্শ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত আমরা ধর্ষণের কোনো আলামত বা তথ্য পাইনি। তবে আরও তদন্ত চলছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অপরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন