শরীয়তপুরে ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে নিহত ২
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় ডাকাতের ছোঁড়া গুলিতে অন্তত ৪ জন আহত হয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কীর্তিনাশা নদীর তেতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতদল হানা দিলে তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। স্পিডবোটে পালিয়ে শরীয়তপুরের তেতুলিয়া আসলে ডাকাতদের আটক করে স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলি ও হাতবোমায় আহত হন অন্তত ৪ জন।
ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯)।
পরে ডাকাতির খবর মসজিদের মাইকে প্রচার করলে মুহূর্তের মধ্যে শতশত মানুষ তাদের ঘিরে ফেলে। এসময় ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা।
পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ‘ডাকাতের ছোড়া গুলিতে চার জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আহত অবস্থায় ৭ ডাকাতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুই জন মারা গিয়েছেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টাকালে ৭ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হবে।
এমএ//