বছর শেষে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি ছাড়ানোর আশঙ্কা: সিপিডি
বছর শেষে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অর্থবছরকে সামনে রেখে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বাজেট ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক মুনতাসীর কামাল ও সাঈদ ইউসুফ শাদাৎসহ অন্যান্য বিশ্লেষকরা।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২৫ অর্থবছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি যদি দেখি, সেটি খুবই দুর্বল। এই সময়কালে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪.৪ শতাংশ। গত বছরের আদায় যেহেতু কম হয়েছে, সেই ঘাটতি এবং এ বছরের জন্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাকি সময়ে পূরণ করা আসলে প্রায় অসম্ভব বিষয়। আমরা মনে করি, বাকি অর্থবছরে আরো যেসব জায়গায় থেকে কর আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেও আমরা যদি হিসাব করি, বছর শেষে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, ২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতি, সেখানে আমরা দেখব যে, সেখানে মূল বাজেট ব্যবহারের হার ছিল ২৮.৩ শতাংশ। এটা ২৪ অর্থবছরের তুলনায় একটু বেশি। অন্যদিকে আমরা দেখি, ২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার কমে গেছে। জুলাই-ডিসেম্বরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২৯ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। যা ২০২৪ এর একই সময়ে অনেক কম ছিল।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদিত হলে পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠতে পারে। বৈশ্বিক শুল্কযুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতির বর্তমান প্রবণতা বিবেচনায় নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনা বাস্তবে কঠিন হতে পারে।
এসি//