৮ গোলের ম্যাচ শেষে ফাইনালে রিয়াল
নিজেদের অর্ধ থেকে এন্দ্রিক ফিলিপেকে লক্ষ্য করে থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ডিফেন্স চেরা স্নাইপারের মতো বাড়ানো সেই পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন এন্দ্রিক। এরপর এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠান জালে।
ম্যাচের ৩০মিনিটের দুই ব্রাজিলিয়ানের এই ক্যামেস্ট্রিতেই সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। এই গোলের আগে ম্যাচে ১৬ মিনিটে রিয়াল সোসিয়াদের হয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন বারেনেচিয়া।
কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালে রিয়াল সোসিয়াদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ এগিয়ে ছিলো রিয়াল। অথচ দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে কিছুটা চাপেই পড়েছিলো কার্লো আনচেলত্তির দল। বারেনেচিয়া ও এন্দ্রিকের গোলের পর ম্যাচটিতে হয়েছে আরও ৬ টি গোল।
৭২ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিলো ১-১ সমতাতেই। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিলো রিয়াল।
তবে এরপরই আত্নঘাতী গোল করে সোসিয়াদকে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরান ডেভিড আলাবা। ৮০ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে এগিয়ে যায় সোসিয়াদাদ।
এরপর ৮২ মিনিটে ভিনির দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে জুড বেলিংহামের গোলে সমতায় গেরে রিয়াল। এর চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোল করলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নেয় রিয়াল।
কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে ওইরাজাবালের গোলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা যখন ৫ মিনিট বাকি তখন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে দেখা যাচ্ছিলো রাফায়েল নাদালকে। রিয়াল মাদ্রিদের চিন্তায় গালে হাত দিয়ে চিন্তা ভরা মুখে বসে ছিলেন এই টেনিস তারকা।
নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় যখন পুরো বিশ্বের রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা। তখন ১১৫ মিনিটে আরদা গুলেরে কর্নার হেডে বল জালে পাঠান আন্তনিও রুডিগার।
নিশ্চিত হয় রিয়াল মাদ্রিদের ফাইনাল। প্রিয় দলের জয় নিশ্চিত হওয়ায় বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়েন নাদাল। আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠে হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে এমন ভাবে বসে পড়লেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!