আন্তর্জাতিক

বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চরমে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জারীকৃত নতুন শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়ায় চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়। এর জবাবে চীনা পণ্যের ওপর পাল্টা ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে বিষয়টিকে চীন বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি। ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার পাল্টা পদক্ষেপকে ব্ল্যাকমেইল মনে করে এর বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করে দেশটি।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের ওপর দ্বিতীয়বার পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে।

হোয়াইট হাউজ নিশ্চিত করেছে, এই নতুন শুল্ক হার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বঘোষিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যোগ হয়ে কার্যকর হবে, যার অর্থ ২০২৫ সালে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর মোট শুল্ক হবে ১০৪ শতাংশ।

ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি আরও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তবে তার জবাবে আরও বড় ধরনের শুল্ক বসানো হবে। আমরা আর চুপ থাকব না। আমেরিকা কোনোভাবেই শিকার হতে পারে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু বাণিজ্য নয়, বিদেশি সাহায্য ও বিদেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির মতো বিষয়গুলোও শুল্ক আলোচনার আওতায় আসতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশ দুটির মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে এর তীব্র প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক বাজারেও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হচ্ছে চীন।

 এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন