শিক্ষা

আজ থেকে শুরু এসএসসি পরীক্ষা, মানতে হবে যে সকল নির্দেশনা

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে  ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রতিবারের মত এবারও বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা।  নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরিক্ষা চলবে এবং ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন পরীক্ষার্থী নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। ১৮,০৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ২,২৯১টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার জন্য ৭২৫টি কেন্দ্র ও ৯,০৬৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড কর্তৃক ১৪টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১. পরীক্ষার ৩০ (ত্রিশ) মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে;  

২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে;  

৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা নেওয়া হবে, উভয় পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না;  

৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর অন্তত তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে;  

৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রসমূহ ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে এই ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর অনলাইনে বোর্ডের ওয়েবসাইটে জমা দেবে;  

৬. উত্তরপত্রের OMR ফরমে পরীক্ষার্থীরা সঠিকভাবে তাদের পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। উত্তরপত্র কোনোভাবেই ভাঁজ করা যাবে না;  

৭. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রতিটি অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে;  

৮. পরীক্ষার্থীরা কেবল তাদের নিবন্ধনপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ভিন্ন কোনো বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না;  

৯. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;  

১০. পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার অনুমতি থাকবে;  

১১. কেন্দ্রসচিব ব্যতীত অন্য কেউ বা পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন কেন্দ্রের ভেতরে আনা বা ব্যবহার করতে পারবে না;  

১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;  

১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;  

১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে করা যাবে।  

এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে কিংবা পরীক্ষা শুরুর আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে থাকা ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা হবে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন