সাভারে আবারও চলন্ত বাসে ছিনতাই, পৃথক দুই বাসে হানা

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের পৃথক দুই স্থানে যাত্রীবাহী দু'টি চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে ছিনতাইকারীরা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় রাজধানী পরিবহনে এবং দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংকটাউন এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া সাভার পরিবহনের যাত্রী তায়েফুর রহমান বলেন, আমি আমার স্ত্রী ও পরিবারসহ ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাভার থেকে ওই বাসটিতে উঠি। বাসটি ব্যাংকটাউন এলাকায় পৌঁছলে ৪/৫ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে বাসটিতে উঠে। পরে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় তারা। তার মধ্যে আমার স্ত্রীর লকেটসহ প্রায় ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাদের টার্গেট ছিল নারী যাত্রীরা। কারন মোবাইল কিংবা টাকা-পয়সা তারা কিছু নেয় নি। শুধু স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায় তারা।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছিনতাইয়ের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে রেডিও কলোনি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী চাকু নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা আগে থেকে বাসে ছিল। একজন ড্রাইভারকে চাকু দেখিয়ে বাস নিয়ন্ত্রণে নেয়, বাকি দুইজন যাত্রীদের চাকু দেখিয়ে ভয় দেখাতে থাকে। তাদের মুখ সম্পূর্ণ খোলা ছিল। আমার পাশে বসা নারীর গলা থেকে চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পিছনে বসা আরেকজন নারীর গলার চেইনও ছিনিয়ে নিয়ে সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ডের আগে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বাস সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ডে এসে থামায়। কিন্তু সেখানে কেউ না থাকায় সাহায্য চেয়েও পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমএইচ//