বজ্রপাতে ১০৬ জনের মৃত্যু

একাধারে বৃষ্টিপাত ও ঝড়, অন্যদিকে বজ্রপাত। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত ভারতের বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড। তিন রাজ্য মিলিয়ে কমপক্ষে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী দু’দিনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। একে তো অবিরাম বৃষ্টি, সঙ্গে বাজ পড়ার জেরে বিহারে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল বিহারের নালন্দাতেই ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে নালন্দা ছাড়াও রয়েছে সিওয়ান, কাটিহার, দ্বারভাঙা, বেগুসরাই, ভাগলপুর এবং জেহানাবাদ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের পরিবারপিছু চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি তুলেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পটনায় ৪২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শহরের বহু জায়গায় জল জমেছে। শুক্রবারও বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শহরের বহু জায়গায় জল জমেছে।
উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলায় দুর্যোগের জেরে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই রাজ্যের ফতেপুর, আজমগড়, ফিরোজাবাদ, কানপুর, কনৌজ, আমেঠী, গোন্ডা, গাজিপুর এবং উন্নাও। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারপিছু চার লক্ষ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুর্যোগে চাষের জমির কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রশাসনকে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জলমগ্ন এলাকা থেকে দ্রুত জল নামানোর বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে বাজ পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জনই প্রবীণ নাগরিক। সে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ডালটনগঞ্জ (৩১.৮ মিলিমিটার)-এ। রাজধানী রাঁচীতে হয়েছে ৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। ধানবাদ, কোডারমা, হাজারিবাগের বহু জায়গায় গাছ উপড়ে যান চলাচল ব্যহত হয়। শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অসম ও অরুণাচলেও ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন ইতোমধ্যেই বিপর্যস্ত এলাকার বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, ঝোড়ো হাওয়ায় কাহিল দিল্লি। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল ধুলোর ঝড় ও বজ্রপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাতে সাময়িকভাবে জারি হয় রেড অ্যালার্ট।
জেএইচ