অপসংস্কৃতির কারণে আমাদের মূল সংস্কৃতি যেন ঢেকে না যায় : সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমাদের বাবারা, দাদারা, নানারা যেভাবে নববর্ষ পালন করে এসেছেন সেগুলোই আমাদের মূল কালচার। আমরা সেগুলোকে সামনে রেখে যদি নববর্ষকে উদযাপন করি, তাহলে সেটাই আমাদের নিজেদেরকে প্রকৃতভাবে তুলে ধরা হবে। আমরা প্রত্যাশা করবো- আমাদের সংস্কৃতির উপরে বাহ্যিক কোন দেশের বা নির্দিষ্ট কোন এলাকার অপসংস্কৃতি যেন চাপিযে না দেয়া হয় এবং এই অপসংস্কৃতির কারণে আমাদের মূল সংস্কৃতি যেন ঢেকে না যায়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত ও তার স্বজনদের খোঁজ খবর নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরের নববর্ষগুলোতে খুব স্বাভাবিকভাবেই শুধু দলীয় নয় বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব আমরা দেখেছি। তাদের মত করে দলের পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের এজেন্সির ওইরকম কনসেপ্ট তৈরি করে এই নববর্ষগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হতো।’
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি সম্পর্কে সারজিস বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের ৫৩-৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশে দাড়াতে কোন ব্যানার নিয়ে নয় দলমত নির্বিশেষে সবাই পাশে দাড়িয়েছে। জাতিসংঘ ইউনিসেফ মানাবাধিকারের বড় বড় লেকচার দেয়। কিন্তু গাজায় সেটা তারা করেনি। আমরা পৃথিবীর সবার কাছে আহ্বান জানাই ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। এই গণহত্যা বন্ধ করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতা যে আমাদের শহীদ পরিবার রয়েছেন কিংবা আমাদের যারা আহতদের যোদ্ধা রয়েছেন তাদের সাথে থাকা এবং শহীদ পরিবারটা যেন আমাদের পরিবার হয়ে ওঠে। এটা সত্য যে খুব স্বাভাবিকভাবেই এক দেড় হাজার পরিবারের কাছে আমরা চাইলেই যেতে পারিনা। কিন্তু যখন যেই এলাকায় যাই ওই এলাকায় আমাদের যে শহীদ পরিবার থাকে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করি সেই শহীদ পরিবারের বাসায় যাওয়ার, তাদের খোঁজ খবর নেয়ার এবং আমাদের জায়গা থেকে যেটুকু করা দরকার সেটি করার চেষ্টা করি’।
প্রসঙ্গত, এসময় চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, শহীদ সাগরের বাবা রবিউল ইসলাম, নাগরিক পার্টির পঞ্চগড়ের সংগঠক তানবীরুল বারী নয়ন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ