ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ

পটুয়াখালীর মহিপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চার সন্তানের জননী ও অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে প্রতিবেশি সেলিম খাঁ (৩৫) নামের এক যুবক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই নারীকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান সহ ডান চোখ মারাত্মক জখম করা হয়। বর্তমানে ওই নারী শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তার স্বামী জসিম হাওলাদার একটি মামলায় দুই মাস যাবৎ জেলে রয়েছেন। চার সন্তানকে নিয়ে তিনি মৎস্য শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তার স্বামী জেলে যাওয়ার পর থেকেই সেলিম খাঁ তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
গত শুক্রবার দুপুরে সেলিম তাকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে তার ঘরে যায়। এসময় সে বাঁধা দিলে সেলিম তাকে মারধর করে। তার ডাক চিৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী নারীর মা রেহেনা বেগম বলেন, তার মেয়ে জামাই একটি মামলায় জেলের থাকার কারণে মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে সেলিম খা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়ে খারাপ কাজ করতে রাজি না হওয়ায়।তাকে টেনে হিচরে মাটিতে ফেলে চোখের উপর ও বিভিন্ন জায়গায় কিল ঘুষি লাথি মারে। এতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। তিনি সেলিম খার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত সেলিম খা বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় ওর সাথে আমার ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। মহিলার বাড়িতে তিনি যাননি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও সাজানো।
মহিপুর থানার ওসি মো: তরিকুল ইসলাম বায়ান্ন টিভিকে কে বলেন, এ ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ এখনও কেউ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আই/এ