কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা, অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ক্যাম্পাসে এসেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তিনি কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন।
আন্দোলনকারীরা উপদেষ্টাকে জানান, তাদের ছয় দফা দাবির আন্দোলন এখন এক দফায়- উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে রূপ নিয়েছে। তারা স্পষ্টভাবে বলেন, উপাচার্যের অপসারণ ছাড়া অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না।
গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা, যেখানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে নামেন। ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারীরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন, যাতে উপাচার্যের অপসারণসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা এক দফা- ভিসির পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। এরপর ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন, যার মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে রয়েছেন।
অনশনের তৃতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষা উপদেষ্টা সরেজমিনে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নেন। আজই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের একটি তদন্তদল কুয়েট পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন- উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন ও অনশন থেকে সরে আসবেন না।
এসি//