আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান শুরু করল পাল্টা সামরিক অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সামরিক অভিযানের জবাবে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করলো পাকিস্তান। গতকাল শুক্রবার (০৯ মে) রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের অন্তত ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।

পাকিস্তানের হামলায় যেসব ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাঠানকোট, উধামপুর, গুজরাট, রাজস্থানের বিমানঘাঁটি এবং ভারতের ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি গুদাম। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে পাকিস্তানে নির্মিত ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র, যার সর্বোচ্চ পাল্লা ১২০ কিলোমিটার। হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের উরি শহরের একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, রসদ সরবরাহ কেন্দ্র এবং নাগরোটা শহরের একটি আর্টিলারি ইউনিট ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান।

পাশাপাশি, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তান। এই আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছে তাদের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাকে সবচেয়ে বড় কৌশলগত সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এর আগে, ২২ এপ্রিল ভারতের পেহেলগামে একদল বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। এর জেরে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ভারতীয় ভিসা বাতিল ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও ভারতীয়দের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভিসা স্থগিত করে।

এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারত গেল মঙ্গলবার (০৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এক সেনা অভিযান চালায়। ভারতীয় তথ্যমতে, তাতে ৭০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়, যদিও পাকিস্তানের দাবি, প্রাণ গেছে ৩১ জনের, আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।

এই ঘটনার তিন দিনের মাথায় পাকিস্তান চালু করল ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’। এই নামটি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ ‘গলিত সীসা দিয়ে তৈরি প্রাচীর’, যা শক্তি, সংহতি এবং দুর্ভেদ্যতার প্রতীক।

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন