আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, নিহত আরও ৯৫

ছবি: হামলার পর আল-বাকা ক্যাফেটেরিয়া

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। রক্তের খুদাও মিটছে না দখলদার বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর। আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা উপেক্ষা করেই গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। এমনকি ত্রাণকেন্দ্রে ত্রাণ নিতে যাওয়া ক্ষুধার্ত শিশুদেরকেও নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।

গেল ২৪ ঘণ্টায় বিমান হামলা চালিয়ে ৯৫ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। ক্যাফেটিতে একটি জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন। কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপরও হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। হামাদা আবু জারাদে নামের একজন জানান, তারা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে সরে যাওয়ার নোটিশ পান।

এছাড়া মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল চত্বরে চালানো হামলা চলায় দখলদার বাহিনী। সেখানে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এই হাসপাতালে এর আগেও অন্তত ১০ বার হামলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ত্রাণের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।

উল্লেখ্য, ইসরাইল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তা এখনও থামেনি। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেই তারা এই হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত প্রায় ২০ মাসে ইসরাইলি আগ্রাসনে ৫৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন