আন্তর্জাতিক

ইসরাইলে ভয়াবহ ড্রোন হামলা, আহত ২২

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এলাতে ইয়েমেন থেকে ছোড়া এক ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লোহিত সাগরের উপকূলীয় এই এলাকায় ড্রোনটি আঘাত হানে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা আটকাতে ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনী জনগণকে সতর্ক থেকে হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছে।

হুতি যোদ্ধারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনের মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, একাধিক ড্রোন দিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং তা সফলভাবে লক্ষ্যে পৌঁছায়। তিনি দাবি করেন, এলাত ছাড়াও বিয়ারশেবা এলাকায় ইসরায়েলি স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে।

জানা গেছে, অতীতেও হুতিরা একাধিকবার এলাতকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। গত সপ্তাহেও সেখানে ড্রোন হামলা হয়েছিল, তখনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়নি।

এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইসরাইলের শহরে যেকোনো হামলার জবাব হুতি শাসনব্যবস্থাকে বেদনাদায়কভাবে দেওয়া হবে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজও সতর্ক করে বলেছেন, হুতিরা “কঠিন শিক্ষা” পাবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিয়মিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তারা লোহিত সাগরে ইসরাইল-সংযুক্ত জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। হুতিদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই এসব হামলা বন্ধ করা হবে।

জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিশন গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজারের বেশি। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন