দেশজুড়ে

মাদকাসক্ত যুবকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিশু নিহত, আহত ৬

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মাদকাসক্ত এক যুবকের এলোপাতাড়ি কোপে সাফায়াত (৮) নামে এক শিশু নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ  ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। হামলাকারী সবুজ মৃধাকে আটক করেছে পুলিশ

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায়  দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরহোসনাবাদ গ্রামের মৃধা বাড়িতে  ঘটনা ঘটে। দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রকার পূর্বশত্রুতা ছাড়াই আচমকা সবুজ মৃধা বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর অতর্কিতভাবে দা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়তার হামলায় নারী ও শিশুসহ ৬ জন আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সবুজ পালানোর চেষ্টা করে। পালাতে না পেরে সে বাড়ির পাশের একটি উঁচু চাম্বল গাছের চূড়ায় আশ্রয় নেয়।

এরই মধ্যে আহতদের স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কিছু গ্রামবাসী গাছ ঘিরে রাখে যাতে সবুজ পালাতে না পারে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় রাত ১০টার দিকে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিরাপদে গাছ থেকে নামিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় ।

গাছের চূড়ায় অবস্থান নেওয়া সবুজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লোহার কোনো বস্তু দিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিকে আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা গাছ কেটে তাকে নামানোর চেষ্টা করলে সবুজ একটি গাছ থেকে লাফিয়ে আরেকটি চাম্বল গাছের চূড়ায় উঠে যায়। এভাবে সে একে একে চারটি গাছ পরিবর্তন করে প্রায় ৭০ ফুট উঁচু চাম্বল গাছের চূড়ায় অবস্থান করে। এরপরে রাত ১০টার দিকে গাছ থেকে নামিয়ে উপস্থিত পুলিশ তাকে আটক করে

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাহুল বিন হালিম বলেন, গুরুতর আহত দুই শিশু সাফায়েত ও মুহিত হাসান এবং মুহিতের মা মরিয়মের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথে মধ্যে সাফায়েত মারা যায়

 দশমিনা থানার ওসি মো. আবদুল আলীম জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত  ছিলাম । সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক সবুজকে গাছ থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বাহাদুর মুন্সির স্ত্রী মরিয়ম (২৯) ও তাদের শিশু ছেলে মুহিত হাসান (৯), সাইদুলের স্ত্রী নাসিমা (৩০), পঞ্চম আলীর ছেলে বাবুল (৪৭)। তারা সবাই একই বাড়ির বাসিন্দা। অপর আহত দুজন নাসিমা ও বাবুল বর্তমানে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন