দেশজুড়ে

প্রবাসী বাবার অনুরোধের পরেও, শিশুকে দাফনে চাচাদের বাধা

প্রবাসী বাবার অনুরোধ ছিল তার বাবা মায়ের কবরের পাশে তার সন্তান মো. ফাহাদ মিয়াকে দাফন করার। কিন্তু তার চাচাত ভাইদের আপত্তির কারণে শিশুকে পারিবারিক কবস্থানে দাফন না করে। অন্যত্র দাফন করা হয়েছে।

রবিবার  (১২ অক্টোবর)  কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের গাংকুল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাকুন্দিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হঠাৎ হার্টের সমস্যা থেকে শ্বাসকষ্টের কারণে মারা যায় শিশু ফাহাদ। তার পরিবার যখন শিশু ফাহাদকে পারিবারিক কবরস্থান দাদা দাদির কবরের পাশে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই  প্রবাসে থাকা শিশুর চাচাতো চাচা সোহেল মিয়া ফোনে বাড়িতে থাকা ছোট ভাই আসিফ কে নির্দেশ দেন পারিবারিক কবরস্থানে দাফনে বাধা দিতে।

স্থানীয়রা জানায়, যেখানে শিশু ফাহাদের দাফন করতে চাচ্ছেন পরিবার সেখানে তার দাদা-দাদি কবর রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এটা যৌথ কবর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। রাস্তার পাশে হওয়ায় ইদানিং জায়গার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে। আর সেই বিরোধের শিকার হলো মাত্র চার বছরের একটি প্রাণ।

ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের একটি দল। তারাও বুঝাতে ব্যার্থ হন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিকল্প কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা বুঝিয়ে বলেছিএটা তো একটা শিশু। শিশুর বাবা বিদেশ থেকে বলেছে দাদা দাদির কবরস্থানে দাফন করার জন্য কিন্তু চাচাতো চাচা তারা শুনেনি। শিশুর দাদার জায়গা এটা তারপরও তারা এখানে আর নতুন কবর চাচ্ছেন না। বলছেন যার যার জায়গায় কবর দেওয়ার জন্য।

পাকুন্দিয়া থানার এসআই আতিকুর রহমান রাসেল মিয়া জানান, এই বাচ্চাটা দাফনের ব্যাপারে তার চাচারা বাধা দিয়েছিলস্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা এসেছেন। দুই পক্ষই একটা সমাধানে এসেছে এখন দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।শিশুর বাবার যে নিজস্ব জমি রয়েছে সেখানে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন