স্বস্তি ফিরছে সবজির বাজারে, বাড়তি মাছ-মাংসের বাজার
রাজধানীর বাজারে ধীরে ধীরে উঠছে মৌসুমি শীতকালীন শাকসবজি। কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে এখনো তা ভোক্তাদের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি এখনও কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও শিমের দাম সবচেয়ে বেশি—প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, আর মুলা ৬০ টাকায়। এছাড়া বেগুন ও বরবটির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে এসেছে। গেল সপ্তাহে যেখানে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছিল, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের দামও সামান্য কমেছে—প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা।
আলুর বাজারে দাম আরও কিছুটা নেমেছে। এখন কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল, প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গেল দুই মাস ধরে সবজির দাম চড়া। শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে উঠলে দাম স্বাভাবিক হতে পারে।
অন্যদিকে মাছের বাজারেও দাম বেশ উঁচু। বোয়াল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকায়, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকায়, আইড় ৭০০-৮০০ টাকায়, আর চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকায়। কাতল মাছের কেজি ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, চাষের পাঙাশ ২০০, ট্যাংরা ৫৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪০০ ও শিং ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজারেও তেমন স্বস্তি নেই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকায়, সোনালি ২৮০-৩০০ টাকায়, লাল লেয়ার ৩২০ টাকায় এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত—গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমএ//